Scan barcode
nafimulabir's review
5.0
I personally don't like him, but I gotta say, this book was worth every penny.
kushii's review
5.0
মফস্বল এলাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থী মুহিব। ঘটনাচক্রে জড়িয়ে পড়ে নিজেরই ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া এক খুনের সাথে, হয়ে যায় রাজস্বাক্ষী। জড়িয়ে ফেলে কাছের বন্ধুদের। কিন্তু তারপর কী ঘটে? তা জানতে হলে ঘুরে আসতে হবে মুহিবের ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাস রাজনীতির চালচিত্র, ক্যাম্পাস জীবনের আতিপাতি, মরিয়া হয়ে ওঠা সাধারণ ছাত্রের বিবর্তনের গল্প জানা যাবে এই উপাখ্যানে।
বইটা আমার সবচেয়ে প্রিয় বই হয়ে উঠতে পারতো। কিন্তু সামান্য খচখচানি থাকায় একটু পেছনে পড়ে গেল। বইয়ের ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে সবচেয়ে দারুণ বিষয়। চরিত্রদের সর্বোচ্চ স্কোপ দিয়েছেন লেখক। শুধু মূল ঘটনা নয়, চরিত্রগুলো যেখানে জীবন অতিবাহিত করে, সেই জীবনের চিত্র দেখানো হয়। এতে চরিত্রগুলো হয়ে উঠে পরিপূর্ণ। আর রইল চরিত্রগুলোর মনস্তত্ত্ব। এই দিকটা সবচেয়ে বিস্মিত করেছে আমাকে। খুব সূক্ষ্ণভাবে এই দিকটায় কাজ করা হয়েছে। একটা স্পেসিফিক নাম শুনেই একটা ঘটনা মনে পড়ে যাওয়া, প্রয়োজনে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা আবার হুট করেই ভুল কাজ করে ফেলা। চরিত্রগুলো খুবই জীবন্ত মনে হয়েছে, যেন কাছ থেকেই দেখছি।
আর রইল লেখনশৈলী। চমৎকার! কেপি সবসময়ই বিস্মিত করে। আলাদা কিছু কাজ সে করে বর্ণনার মধ্যে। যেমন কোনো একটা প্রবাদই ধরা যাক। সে সরাসরি সেটা না লিখে একটু ঘুরিয়ে লিখে। প্রবাদটি আমি জানি, কিন্তু এই যে একটু পরিবর্তন আলাদা একটা ফ্লেভার দেয়। আর সংলাপগুলোও পারফেক্ট ছিল।
ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে শুধু দুইটা সমস্যা আমার রয়েছে, যে কারণে বইটা প্রিয় হতে গিয়েও হলো না। দুইটা ব্যাপার। স্পয়লার হওয়ার ভয়ে খোলাখুলি বলা যাচ্ছে না। হয়ত লেখক গুরুত্ব দেয়নি বা মিস করে গেছে। খুনে জড়িত যারা ছিল, সবার দিকটাই দেখা উচিত ছিল। আর শ্রাবন্তীর বাবার সাথে মুহিবের একটা আলোচনা অংশ বোধ হয় দরকার ছিল। এইটুকু ফাঁক বোধ হয় থেকে গেছে। ওভারঅল কাহিনী খুবই চমৎকার।
গুডরিডসে ভগ্নাংশ রেটিং দেওয়ার উপায় নেই। তাই পাঁচ তারা দেওয়া হলো। রেটিং আসলে সাড়ে চার হবে।
বইটা আমার সবচেয়ে প্রিয় বই হয়ে উঠতে পারতো। কিন্তু সামান্য খচখচানি থাকায় একটু পেছনে পড়ে গেল। বইয়ের ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে সবচেয়ে দারুণ বিষয়। চরিত্রদের সর্বোচ্চ স্কোপ দিয়েছেন লেখক। শুধু মূল ঘটনা নয়, চরিত্রগুলো যেখানে জীবন অতিবাহিত করে, সেই জীবনের চিত্র দেখানো হয়। এতে চরিত্রগুলো হয়ে উঠে পরিপূর্ণ। আর রইল চরিত্রগুলোর মনস্তত্ত্ব। এই দিকটা সবচেয়ে বিস্মিত করেছে আমাকে। খুব সূক্ষ্ণভাবে এই দিকটায় কাজ করা হয়েছে। একটা স্পেসিফিক নাম শুনেই একটা ঘটনা মনে পড়ে যাওয়া, প্রয়োজনে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা আবার হুট করেই ভুল কাজ করে ফেলা। চরিত্রগুলো খুবই জীবন্ত মনে হয়েছে, যেন কাছ থেকেই দেখছি।
আর রইল লেখনশৈলী। চমৎকার! কেপি সবসময়ই বিস্মিত করে। আলাদা কিছু কাজ সে করে বর্ণনার মধ্যে। যেমন কোনো একটা প্রবাদই ধরা যাক। সে সরাসরি সেটা না লিখে একটু ঘুরিয়ে লিখে। প্রবাদটি আমি জানি, কিন্তু এই যে একটু পরিবর্তন আলাদা একটা ফ্লেভার দেয়। আর সংলাপগুলোও পারফেক্ট ছিল।
ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে শুধু দুইটা সমস্যা আমার রয়েছে, যে কারণে বইটা প্রিয় হতে গিয়েও হলো না। দুইটা ব্যাপার। স্পয়লার হওয়ার ভয়ে খোলাখুলি বলা যাচ্ছে না। হয়ত লেখক গুরুত্ব দেয়নি বা মিস করে গেছে। খুনে জড়িত যারা ছিল, সবার দিকটাই দেখা উচিত ছিল। আর শ্রাবন্তীর বাবার সাথে মুহিবের একটা আলোচনা অংশ বোধ হয় দরকার ছিল। এইটুকু ফাঁক বোধ হয় থেকে গেছে। ওভারঅল কাহিনী খুবই চমৎকার।
গুডরিডসে ভগ্নাংশ রেটিং দেওয়ার উপায় নেই। তাই পাঁচ তারা দেওয়া হলো। রেটিং আসলে সাড়ে চার হবে।
More...