Scan barcode
lahlorleh's review against another edition
emotional
hopeful
inspiring
lighthearted
mysterious
reflective
medium-paced
- Plot- or character-driven? A mix
4.5
goferreads's review against another edition
emotional
hopeful
inspiring
mysterious
reflective
slow-paced
- Plot- or character-driven? Plot
- Strong character development? No
- Loveable characters? Yes
- Diverse cast of characters? No
- Flaws of characters a main focus? No
4.0
Solid read. I enjoyed the universe, and the characters are the highlight. They are sweet and snarky and unique. I feel like it may have lost some of the sparkle in translation, but the translator did an excellent job. It was a soft read, the made me feel cozy and emotional. I did lose momentum about half way through the book, but once I got back into it I flew to the end.
sunflowerwinter99's review against another edition
emotional
hopeful
inspiring
relaxing
slow-paced
- Plot- or character-driven? A mix
- Strong character development? Yes
- Loveable characters? Yes
- Diverse cast of characters? Yes
- Flaws of characters a main focus? No
5.0
vaia95's review against another edition
adventurous
challenging
emotional
hopeful
inspiring
mysterious
medium-paced
- Plot- or character-driven? A mix
- Strong character development? Yes
- Loveable characters? Yes
- Diverse cast of characters? It's complicated
- Flaws of characters a main focus? Yes
4.75
marinaashburn's review against another edition
mysterious
reflective
slow-paced
- Plot- or character-driven? Character
- Diverse cast of characters? Yes
4.0
__offsetpaper__'s review against another edition
5.0
গভীর রাতে ডাকাতি করে আশ্রয় খুঁজছে তিন বন্ধু– আতসুয়া, সোতা আর কোহেই। কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে তারা শহর পেরিয়ে বেশ ভেতরের দিকে চলে এসেছে। কোনো মোটেলে যে উঠবে, সেই উপায়টাও নেই। কারণ ভোর হলেই ডাকাতির কথা জানাজানি হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে এক পরিত্যক্ত স্টেশনারি শপে আশ্রয় নেয় তারা। ভেতরে পা দিয়েই বুঝতে পারে যে অনেকদিন এই জায়গায় কারো পা পড়েনি। কিন্তু যখনই ঘুমাতে যাবে, তখনই দোকানের মেইল স্লটে আসে একটি রহস্যময় চিঠি! প্রেরক নামিয়া জেনারেল স্টোরের কাছ থেকে তার ব্যক্তিগত এক সমস্যার সমাধান চাইছে। এমন না যে চিঠিটা এখানে আগে থেকেই ছিল। বরং মাত্রই কে যেন চিঠিটা ফেলে চলে গেল! নিছক নিতান্ত কৌতূহলের বশেই তারা চিঠির উত্তর লিখে পাঠিয়ে দেয়। অবাক করা ব্যাপার হল সাথে সাথেই প্রেরকের কাছ থেকে সেই চিঠির উত্তরটা চলে আসে৷
শুধু তাই নয়, সেই এক রাতেই একাধিক প্রেরকের কাছ থেকেই বেনামী চিঠি লাগাতার মেইল বক্সে এসে জমা হতে থাকে। তারা বুঝতে পারে, চিঠিগুলোর সাথে অতীতেরও কোনো সম্পর্ক আছে৷ কারণ দোকানের ভেতরের সময় আর বাইরের পৃথিবীর সময় কোনো কারণে একই না৷ একটা সময় তারা বুঝতে পারে যে এই দোকানের মালিক ইয়ুজি নামিয়া হয়তো প্রায়ই চিঠির মাধ্যমে মানুষের সমস্যার সমাধান দিতেন। এভাবে এক রাতের মধ্যে তারা নিজেরাই সেই দোকানের মালিকের হয়ে শুরু করে চিঠি আদান-প্রদানের এক অভূতপূর্ব অধ্যায়।
কী থাকতো সেসব চিঠিতে? সমস্যা। হ্যাঁ, মানুষজন নামিয়া জেনারেল স্টোরের মালিকের কাছ থেকে তাদের সমস্যার সমাধান চাইতো। কেউ হয়তো হতাশাগ্রস্ত, কেউ হয়তো জীবনে সফল হতে পারছে না, কেউ আত্মদ্বন্দ্বে ভুগছে, কেউ বা সিদ্ধান্তহীনতায়। সবার চিঠি পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য একটাই, সমস্যার সমাধান চাওয়া।
কিন্তু এবার তো চিঠিগুলোর উত্তর দিচ্ছে সেই তিন বন্ধু! তাহলে কী সেই সমাধানগুলো কোনো কাজে দিবে? নাকি তৈরি করবে নতুন সব সমস্যা?
.
.
.
আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কেইগো হিগাশিনোর ক্রাইম ফিকশন বইগুলো পড়ে এত অভ্যস্ত, উনি যে অন্য জনরা নিয়েও কাজ করেছেন সেই তথ্যটা অনেকেরই অজানা।
বইটা শুরুর দিকে খুব একটা ভালো লাগছিল না। মনে হচ্ছিল ইয়াং এডাল্ট জনরার হয়তো, এই কারণে ভালো লাগছে না। কারণ ইদানীং এই জনরাটা আমাকে একটু কম টানছে৷ কিন্তু প্রথম চিঠিটা পড়ার পরে মনে হলো, "আচ্ছা, আর কয়েক পাতা পড়ে দেখি৷" আস্তে আস্তে যখন দেখলাম প্রতিটা কাহিনীই একটা আরেকটার সাথে জোড়া লাগানো, তখনই মূল বিষয়টা ধরতে পারলাম। অনেকটা টাইম ট্রাভেলের মতো। এখানের অনেককিছুই আমার ভালো লেগেছে।
এই যেমন গল্পের প্রতিটা চরিত্রের ডিটেইলড ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য দেওয়া। এখানের প্রতিটা চরিত্রই কিন্তু মূল চরিত্র। ধীরে ধীরে সবার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়৷ বইয়ের ৫টা অধ্যায়ে আমরা সাত ধরনের আলাদা চরিত্রের গল্প দেখতে পাই। ৫ জন হচ্ছে যারা সমস্যার সমাধান খুঁজছে, একজন ইয়ুজি নামিয়া নিজেই, আরেক দল হচ্ছে সেই তিন জন বন্ধু। তো যেই পাঁচ জন পরামর্শ চেয়েছে, তারা সবাই কিন্তু ৫ ভাবেই পরামর্শগুলো কাজে লাগিয়েছে।
একসাথে অনেকগুলো পয়েন্ট অব ভিউ থাকলে গল্পের খেই ধরে রাখা যায় না, হযবরল লাগে কিন্তু এই বইটা ব্যতিক্রম। খুব যত্নের সাথে প্রতিটা চরিত্রের সাথে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সবগুলোকে গল্পের শেষে এত গুছিয়ে আর যত্ন করে জোড়া দেওয়া হয়েছে– পুরো পারফেক্ট কম্বিনেশন। বইটা শেষ করার পর চোখে পানি চলে এসেছিল কারণ অনেক ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। অসাধারণ স্টোরিটেলিং, মানুষের আবেগকে ট্রিগার করার মোটামুটি সব রসদই এই বইয়ে ছিল।
দোকানের এই সাইড হাসলটা শুরুটা হয়েছিল বাচ্চাদের মজার ছলে। জাপানি ভাষায় নামিয়া বা নায়ামি অর্থ হলো 'সমস্যা'। তো ছোট বাচ্চারা প্রায়ই মজা করে এই ইয়ুজি নামিয়া মশাইয়ের কাছে নিজেদের অদ্ভুত সব সমস্যা নিয়ে হাজির হতো। এই যেমন প্লেন কিভাবে উড়ে, আমার স্কুলে যেতে ভালো লাগে না, কী করবো? ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে আস্তে আস্তে বড়রাও নিজেদের সমস্যাগুলো তার সাথে চিঠি লিখে শেয়ার করতে লাগলো৷ এভাবেই চিঠি আদান-প্রদানের রীতিটা শুরু হয়েছিল।
বইটা বেশ আগেই পড়ে শেষ করেছিলাম। তো মাঝে মাঝে মনে হতো যে সত্যিকারের একটা নামিয়া জেনারেল স্টোর থাকলে না জানি কত মজা হতো৷ কাউকে নিজের পরিচয় না জানিয়েই তার সাথে নিজের সমস্যা নিয়ে কথা বলা যেত, আবার একটা সমাধানও মিলতো! ওহ! গল্পের সবাই যে দোকানের মালিকের পরামর্শ মেনে চলে, তা কিন্তু নয়! অনেকে পরামর্শ পাওয়ার পরেও নিজের মনের কথাটাকেই মেনে নেয়৷ কারণ ওই যে, মানুষের মনের জোর সবচেয়ে বেশি! বইয়ের এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই বইটাকে আরো উপভোগ্য করে তুলেছে৷
বইয়ের খুব চমৎকার একটা অংশ হলো, "There’s something I’ve learned from years of reading people’s letters. In most cases, they already have an answer to their problem. They’re asking for advice because they want to see if other people think they’re making the right decision. That’s why a lot of people send me a response after reading my advice. Maybe they had a different solution in mind."
শুধু তাই নয়, সেই এক রাতেই একাধিক প্রেরকের কাছ থেকেই বেনামী চিঠি লাগাতার মেইল বক্সে এসে জমা হতে থাকে। তারা বুঝতে পারে, চিঠিগুলোর সাথে অতীতেরও কোনো সম্পর্ক আছে৷ কারণ দোকানের ভেতরের সময় আর বাইরের পৃথিবীর সময় কোনো কারণে একই না৷ একটা সময় তারা বুঝতে পারে যে এই দোকানের মালিক ইয়ুজি নামিয়া হয়তো প্রায়ই চিঠির মাধ্যমে মানুষের সমস্যার সমাধান দিতেন। এভাবে এক রাতের মধ্যে তারা নিজেরাই সেই দোকানের মালিকের হয়ে শুরু করে চিঠি আদান-প্রদানের এক অভূতপূর্ব অধ্যায়।
কী থাকতো সেসব চিঠিতে? সমস্যা। হ্যাঁ, মানুষজন নামিয়া জেনারেল স্টোরের মালিকের কাছ থেকে তাদের সমস্যার সমাধান চাইতো। কেউ হয়তো হতাশাগ্রস্ত, কেউ হয়তো জীবনে সফল হতে পারছে না, কেউ আত্মদ্বন্দ্বে ভুগছে, কেউ বা সিদ্ধান্তহীনতায়। সবার চিঠি পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য একটাই, সমস্যার সমাধান চাওয়া।
কিন্তু এবার তো চিঠিগুলোর উত্তর দিচ্ছে সেই তিন বন্ধু! তাহলে কী সেই সমাধানগুলো কোনো কাজে দিবে? নাকি তৈরি করবে নতুন সব সমস্যা?
.
.
.
আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কেইগো হিগাশিনোর ক্রাইম ফিকশন বইগুলো পড়ে এত অভ্যস্ত, উনি যে অন্য জনরা নিয়েও কাজ করেছেন সেই তথ্যটা অনেকেরই অজানা।
বইটা শুরুর দিকে খুব একটা ভালো লাগছিল না। মনে হচ্ছিল ইয়াং এডাল্ট জনরার হয়তো, এই কারণে ভালো লাগছে না। কারণ ইদানীং এই জনরাটা আমাকে একটু কম টানছে৷ কিন্তু প্রথম চিঠিটা পড়ার পরে মনে হলো, "আচ্ছা, আর কয়েক পাতা পড়ে দেখি৷" আস্তে আস্তে যখন দেখলাম প্রতিটা কাহিনীই একটা আরেকটার সাথে জোড়া লাগানো, তখনই মূল বিষয়টা ধরতে পারলাম। অনেকটা টাইম ট্রাভেলের মতো। এখানের অনেককিছুই আমার ভালো লেগেছে।
এই যেমন গল্পের প্রতিটা চরিত্রের ডিটেইলড ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য দেওয়া। এখানের প্রতিটা চরিত্রই কিন্তু মূল চরিত্র। ধীরে ধীরে সবার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়৷ বইয়ের ৫টা অধ্যায়ে আমরা সাত ধরনের আলাদা চরিত্রের গল্প দেখতে পাই। ৫ জন হচ্ছে যারা সমস্যার সমাধান খুঁজছে, একজন ইয়ুজি নামিয়া নিজেই, আরেক দল হচ্ছে সেই তিন জন বন্ধু। তো যেই পাঁচ জন পরামর্শ চেয়েছে, তারা সবাই কিন্তু ৫ ভাবেই পরামর্শগুলো কাজে লাগিয়েছে।
একসাথে অনেকগুলো পয়েন্ট অব ভিউ থাকলে গল্পের খেই ধরে রাখা যায় না, হযবরল লাগে কিন্তু এই বইটা ব্যতিক্রম। খুব যত্নের সাথে প্রতিটা চরিত্রের সাথে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সবগুলোকে গল্পের শেষে এত গুছিয়ে আর যত্ন করে জোড়া দেওয়া হয়েছে– পুরো পারফেক্ট কম্বিনেশন। বইটা শেষ করার পর চোখে পানি চলে এসেছিল কারণ অনেক ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। অসাধারণ স্টোরিটেলিং, মানুষের আবেগকে ট্রিগার করার মোটামুটি সব রসদই এই বইয়ে ছিল।
দোকানের এই সাইড হাসলটা শুরুটা হয়েছিল বাচ্চাদের মজার ছলে। জাপানি ভাষায় নামিয়া বা নায়ামি অর্থ হলো 'সমস্যা'। তো ছোট বাচ্চারা প্রায়ই মজা করে এই ইয়ুজি নামিয়া মশাইয়ের কাছে নিজেদের অদ্ভুত সব সমস্যা নিয়ে হাজির হতো। এই যেমন প্লেন কিভাবে উড়ে, আমার স্কুলে যেতে ভালো লাগে না, কী করবো? ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে আস্তে আস্তে বড়রাও নিজেদের সমস্যাগুলো তার সাথে চিঠি লিখে শেয়ার করতে লাগলো৷ এভাবেই চিঠি আদান-প্রদানের রীতিটা শুরু হয়েছিল।
বইটা বেশ আগেই পড়ে শেষ করেছিলাম। তো মাঝে মাঝে মনে হতো যে সত্যিকারের একটা নামিয়া জেনারেল স্টোর থাকলে না জানি কত মজা হতো৷ কাউকে নিজের পরিচয় না জানিয়েই তার সাথে নিজের সমস্যা নিয়ে কথা বলা যেত, আবার একটা সমাধানও মিলতো! ওহ! গল্পের সবাই যে দোকানের মালিকের পরামর্শ মেনে চলে, তা কিন্তু নয়! অনেকে পরামর্শ পাওয়ার পরেও নিজের মনের কথাটাকেই মেনে নেয়৷ কারণ ওই যে, মানুষের মনের জোর সবচেয়ে বেশি! বইয়ের এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই বইটাকে আরো উপভোগ্য করে তুলেছে৷
বইয়ের খুব চমৎকার একটা অংশ হলো, "There’s something I’ve learned from years of reading people’s letters. In most cases, they already have an answer to their problem. They’re asking for advice because they want to see if other people think they’re making the right decision. That’s why a lot of people send me a response after reading my advice. Maybe they had a different solution in mind."
_annabanana_'s review against another edition
hopeful
mysterious
reflective
medium-paced
- Plot- or character-driven? Character
- Strong character development? Yes
- Loveable characters? Yes
- Diverse cast of characters? No
- Flaws of characters a main focus? Yes
5.0
cloudiifeather's review against another edition
emotional
inspiring
mysterious
reflective
relaxing
medium-paced
- Plot- or character-driven? Character
- Strong character development? No
- Loveable characters? N/A
- Diverse cast of characters? Yes
- Flaws of characters a main focus? It's complicated
4.0