Scan barcode
A review by nabonita
দেবী by Humayun Ahmed
5.0
হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের কাহিনিগুলো পুরোপুরি থ্রিলার ধাঁচের নয়। আক্রমণ-পাল্টা-আক্রমণের ব্যাপারগুলোকে ছাপিয়ে এখানে প্রাধান্য বিস্তার করতে দেখা যায় যুক্তিবাদী চিন্তাধারা। বিজ্ঞান আর মনস্তাত্ত্বিক ধারার মিশেলে লেখা মিসির আলি সিরিজের কাহিনিগুলো সাধারণত রহস্য ঘরানার। তুখোড় বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটিয়ে যুক্তির সাহায্যে মিসির আলি যেভাবে রহস্যের সমাধান করেন - তা সত্যিই দারুণ উপভোগ্য! বইয়ের পাতায় মিসির আলির প্রথম আবির্ভাব ঘটে মূলত 'দেবী' উপন্যাসে।
মাঝরাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠে রানু। সে টের পায়, ছাদে কে যেন হাঁটাহাটি করছে। হাঁটাহাটির শব্দ শুনে রানু বুঝতে পারে, এটা কোনো সাধারণ মানুষের হাঁটার ধরন নয়। কেউ একজন অদ্ভুত ভঙ্গিতে পা টেনে টেনে হাঁটছে!
উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয় এভাবেই - রানুর মাঝরাতের অভিজ্ঞতার বর্ণনার মাধ্যমে। রানু নামের মেয়েটির মধ্যে অতিপ্রাকৃত কিছু ক্ষমতা রয়েছে। সে স্বপ্ন খুব কম দেখে। অথচ যে স্বপ্নগুলো দেখে রানু - সেগুলো নাকি সব সত্যি হয়!
বিয়ের পর নিজের স্ত্রী, রানুর অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতার ব্যাপারে টের পায় আনিস। কিন্তু এই ব্যাপারে আনিস কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না। অগত্যা সাহায্যের আশায় ছুটে যায় মিসির আলির কাছে। প্রশ্ন হচ্ছে, রহস্যভেদী মিসির আলি কি পারবে রানুর অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে? তাছাড়া নীলু নামের মেয়েটি যে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার সম্মুখীন হয়, সেটারই বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা কী?
একটি বইয়ের কাহিনির ভেতর পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার পেছনে কাজ করে বেশ কিছু ফ্যাক্টর। ফ্যাক্টর হতে পারে লেখকের বর্ণনাশৈলী কিংবা কাহিনির প্লট। মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ছোট ছোট টুইস্টও ফ্যাক্টরের ভূমিকা পালন করতে পারে। সেক্ষেত্রে দেবী উপন্যাসের ভেতরে ডুবে যাওয়ার কারণ যদি বলতে হয়, তাহলে বলব একটি অসাধারণ শুরুর কথা।
কাহিনির একদম শুরুতেই সম্পূর্ণ মনোযোগ কেড়ে নিতে পেরেছে বইটি! ছাদে এমন একজন হাঁটাহাটি করছে যার হাঁটার ধরন সাধারণ মানুষের মতো নয় - এটা এমন এক ধরনের তথ্য, যা বইয়ের কাহিনিতে আটকে রাখবে চুম্বকের ন্যায়। তুমুল আগ্রহে পড়ে যেতে হবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা!
শুরুর দিকে গা ছমছমে একটা আবহ তৈরি করেছেন লেখক, যা বেশ উপভোগ্য ছিল। অথচ উপন্যাসটা কিন্তু ভৌতিক ধারার নয়! বরং রহস্য ঘরানাই দেবীর সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু হ্যাঁ, রহস্যটা এখানে মানবসৃষ্ট নয়। প্রকৃতির অসাধারণ রহস্যময়তা প্রাধান্য বিস্তার করেছে পুরো কাহিনি জুড়ে - দেবী উপন্যাসের আসল মজাটা মূলত এখানেই।
কাহিনির প্রয়োজনে আসা চরিত্রগুলোর নির্মাণ বেশ ভালো। মিসির আলির চরিত্রায়ণের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এখানেও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু মিসির আলির যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রয়োগ কতটা সফল হলো - সেটা জানার জন্য পড়তে পারেন বইটি। সিরিজের প্রথম বই হিসেবে দেবী বেশ ভালো। পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
মাঝরাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠে রানু। সে টের পায়, ছাদে কে যেন হাঁটাহাটি করছে। হাঁটাহাটির শব্দ শুনে রানু বুঝতে পারে, এটা কোনো সাধারণ মানুষের হাঁটার ধরন নয়। কেউ একজন অদ্ভুত ভঙ্গিতে পা টেনে টেনে হাঁটছে!
উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয় এভাবেই - রানুর মাঝরাতের অভিজ্ঞতার বর্ণনার মাধ্যমে। রানু নামের মেয়েটির মধ্যে অতিপ্রাকৃত কিছু ক্ষমতা রয়েছে। সে স্বপ্ন খুব কম দেখে। অথচ যে স্বপ্নগুলো দেখে রানু - সেগুলো নাকি সব সত্যি হয়!
বিয়ের পর নিজের স্ত্রী, রানুর অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতার ব্যাপারে টের পায় আনিস। কিন্তু এই ব্যাপারে আনিস কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না। অগত্যা সাহায্যের আশায় ছুটে যায় মিসির আলির কাছে। প্রশ্ন হচ্ছে, রহস্যভেদী মিসির আলি কি পারবে রানুর অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে? তাছাড়া নীলু নামের মেয়েটি যে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার সম্মুখীন হয়, সেটারই বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা কী?
একটি বইয়ের কাহিনির ভেতর পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার পেছনে কাজ করে বেশ কিছু ফ্যাক্টর। ফ্যাক্টর হতে পারে লেখকের বর্ণনাশৈলী কিংবা কাহিনির প্লট। মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ছোট ছোট টুইস্টও ফ্যাক্টরের ভূমিকা পালন করতে পারে। সেক্ষেত্রে দেবী উপন্যাসের ভেতরে ডুবে যাওয়ার কারণ যদি বলতে হয়, তাহলে বলব একটি অসাধারণ শুরুর কথা।
কাহিনির একদম শুরুতেই সম্পূর্ণ মনোযোগ কেড়ে নিতে পেরেছে বইটি! ছাদে এমন একজন হাঁটাহাটি করছে যার হাঁটার ধরন সাধারণ মানুষের মতো নয় - এটা এমন এক ধরনের তথ্য, যা বইয়ের কাহিনিতে আটকে রাখবে চুম্বকের ন্যায়। তুমুল আগ্রহে পড়ে যেতে হবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা!
শুরুর দিকে গা ছমছমে একটা আবহ তৈরি করেছেন লেখক, যা বেশ উপভোগ্য ছিল। অথচ উপন্যাসটা কিন্তু ভৌতিক ধারার নয়! বরং রহস্য ঘরানাই দেবীর সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু হ্যাঁ, রহস্যটা এখানে মানবসৃষ্ট নয়। প্রকৃতির অসাধারণ রহস্যময়তা প্রাধান্য বিস্তার করেছে পুরো কাহিনি জুড়ে - দেবী উপন্যাসের আসল মজাটা মূলত এখানেই।
কাহিনির প্রয়োজনে আসা চরিত্রগুলোর নির্মাণ বেশ ভালো। মিসির আলির চরিত্রায়ণের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এখানেও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু মিসির আলির যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রয়োগ কতটা সফল হলো - সেটা জানার জন্য পড়তে পারেন বইটি। সিরিজের প্রথম বই হিসেবে দেবী বেশ ভালো। পড়ার আমন্ত্রণ রইল।