Reviews

নিষাদ by Humayun Ahmed

musa's review

Go to review page

4.0

ক'দিন মিসির আলী নিয়েই আছি। ভাললাগার জায়গাটা এখানেই, মনে হচ্ছে যেন কিছু রহস্যকে জানার মাঝেই আনন্দ আছে, তার সমাধান খোঁজায় নয়।
নিষাদের কন্সেপ্টের মিল খুঁজে পেলাম Andy Weir এর 'দ্য এগ' গল্পটার সাথে, যেটা পড়ার আগেও এই কনসেপ্টটা আমার জন্য ছিল আনকোরা নতুন, আর মাথায় চমক জাগানোর মতো। আসলেই কি আমাদের একাধিক বা অসংখ্য জীবন আছে? কাছের কেউ বা অপিরিত কেউ কি আদতে আমারই দ্বৈত জীবন?

kaniz's review

Go to review page

mysterious

4.0

৪.৫ তারা।
প্রিয় চ্যানেলে (গল্প কথন by কল্লোল) অডিওবুক আকারে শুনেছি বলেই বোধহয় স্বাভাবিকভাবে যতটুকু ভালোলাগার কথা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পরের বার ফিজিক্যাল কপিতে অ্যানোটেড করে পড়তে চাই

lousyreader157's review

Go to review page

3.0

যারা হুমায়ূন স্যারের লেখা পড়েন, তারা জানেনই তাঁর লেখা সম্পর্কে। খুবই সহজ, সাবলীল লেখনি। কিছু কিছু কথা হাস্যরসের জন্ম দেয়। মোটকথা, সুখপাঠ্য বই। রিডার্স ব্লক কাটাবার জন্য সেরা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলা চলে তরতর করে এগিয়ে গেছি।

গল্পের প্রয়োজনে প্যারালাল ইউনিভার্স, অসীম ইত্যাদি নিয়ে থিওরি টানা হয়েছে, যা গল্পের স্বাদকে ভিন্নতা দিয়েছে। থিওরিগুলো খুবই ফ্যাসিনেটিং, ফলে বসে তা নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চমক লাগে।

তবে সবচেয়ে কনফিউজিং জায়গাটা হচ্ছে গল্পের শেষটা। শেষের দিকে যুবক টুনুর ব্রেনে টিউমার ধরা পড়েছে বলা হয় এবং ধরে নেওয়া যায় যে হ্যালুসিনেশন থেকে এই অভিজ্ঞতাগুলোর জন্ম। তাহলে ডাক্তারের নিজের হাতে লেখা সেই নোট কোথা থেকে এলো? কোনভাবে লেখা নকল করেছে ধরে নিলেও বিয়ের ছবিটার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দাঁড় করানো যায়? শেষে এসে কোন ক্লোজার পাইনি। দুম করেই যেন শেষ হয়ে গেলো কাহিনি। এটাই একমাত্র অতৃপ্তির জায়গা।

তবুও সবমিলিয়ে মোটামুটি ভালোই লেগেছে বলা চলে।

humorously_shaped_vegetable's review

Go to review page

3.0

Well. Maybe 3.25 stars? Or 3.5 stars? The ending again- is the problem. But this story was more believable than the previous two. But now I wanna know what happened next. Well- I think Humayun Ahmed wanted us to feel like this. The stories never have a clear ending. The last few pages are never clear. The stories seem to have a nice flow and then boom- the end.

nevermoreliterature's review

Go to review page

3.0

নিষাদ-এর বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে রইলাম।

shom's review

Go to review page

3.0

Wasn't that eerie! But interesting enough! The case studies given within the story, of several different people going though experiences of parallel universe was very exciting! An another Good Novel. :)

nature_bd's review

Go to review page

3.0

বইটি নিয়ে অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করলেও গুছিয়ে তুলতে পারছি না!!

atiqzawad's review

Go to review page

4.0

Highlights:

১. একটা ভুল তো মানুষ দীর্ঘদিন করতে পারে না। এক সময়-না-এক সময় তার জ্ঞান হয়। সে বুঝতে পারে।
২. মানুষের মস্তিষ্কের একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সে খুব যত্ন করে মনে করে রাখে, প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো মুছে ফেলে। যে টেলিফোন নাম্বারটি মনে করা দরকার সেটি মনে পড়ে না, অথচ প্রয়োজন নেই এমন টেলিফোন নাম্বারগুলো একের পর এক মনে পড়তে থাকে।
৩. মিসির আলির খানিকটা মন খারাপ হল। এক দিন না এক দিন। এইসব রহস্যের সমাধান হবে, কিন্তু তিনি জেনে যেতে পারবেন না। মানুষ স্বল্পায়ু প্রাণী—এটাও একটা গভীর বেদনার ব্যাপার। এত বুদ্ধি নিয়ে সৌরজগতে যে প্ৰাণীটি এসেছে, তার কর্মকাল সীমাবদ্ধ। তিনি বাতি নিভিয়ে ঘুমের চেষ্টা করছেন-লাভ হচ্ছে না। বিচিত্র সব চিন্তা মাথায় আসছে। একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো মিল নেই। আবার মিল আছেও। অদৃশ্য যে সুতোয় মিলগুলো গাঁথা, সে সুতোটির নাম অনন্ত মহাকাল–The eternity.
৪. মুনির অবাক হয়ে লক্ষ করল, মিসির আলির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এই মানুষটির প্রতি গভীর মমতা ও ভালবাসায় মুনিরের হৃদয় আর্দ্র হল। পৃথিবীতে ভালোমানুষের সংখ্যা কম। কিন্তু এই অল্প কজনের হৃদয় এত বিশাল, যে, সমস্ত মন্দ মানুষ তাঁরা তাঁদের হৃদয়ে ধারণ করতে পারেন।
৫. মিসির আলি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন-মনে মনে বললেন, অদ্ভুত মানবজীবন। মানুষকে আমৃত্যু দ্বিধা এবং দ্বন্দ্বের মধ্যে বাস করতে হয়। তিনি নিজেও তাঁর জীবন দ্বিধার মধ্যে পার করে দিচ্ছেন। সমাজ-সংসার থেকে আলাদা হয়ে বাস করতে তাঁর ভালো লাগে, আবার লাগে না। মানুষের মঙ্গলের জন্যে তীব্র বাসনা অনুভব করেন। এক জন মমতাময়ী স্ত্রী, কয়েকটি হাসিখুশি শিশুর মাঝখানে নিজেকে কল্পনা করতে ভালো লাগে! আবার পর মুহূর্তেই মনে হয়–এই তো বেশ আছি। বন্ধনহীন মুক্ত জীবনের মতো আনন্দের আর কী হতে পারে? পুরোপুরি নিঃসঙ্গও তো নন। তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দিকে তাকালে মন অন্য রকম হয়ে যায়। সারি সারি বই। কত বিচিত্ৰ চিন্তা, কত বিচিত্র কল্পনার কী অপূর্ব সমাবেশ। এদের মাঝখানে থেকে নিঃসঙ্গ হবার কোনো উপায় নেই।
৬. মুনির বাতি জ্বালালো। খাতা খুলে লিখল, মানুষের জীবন দুটি নয়। অনেক। হয়তোবা অসংখ্য।
৭. অসীম ব্যাপারটা এমনই যে, এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্যেই অসীম সংখ্যক জীবনধারা চালু করতে পারে। কারণ অসীম সংখ্যাটির এমনই মাহাত্ম্য যে, সে অসীমসংখ্যক অসীমকেও ধারণ করতে পারে। বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ডেভিড হিলবার্ট অসীমের চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন তাঁর হিলবার্ট হোটেলের সমস্যায়। এই হোটেলটির সবচে বড়ো গুণ হচ্ছে, হোটেলের প্রতিটি কক্ষ অতিথি দিয়ে পূর্ণ হবার পরও যত খুশি অতিথিকে ঢোকান যায়। এর জন্যে পুরনো অতিথিদের কোনো অসুবিধে হয় না। কারো কক্ষে দু জন অতিথি ঢোকানোর প্রয়োজন হয় না। এটা সম্ভব হয় অসীম সংখ্যাটির অদ্ভুত গুণাবলীর জন্যে। মানুষ তার প্রচুর জ্ঞান সত্ত্বেও অসীমকে ব্যাখ্যা করতে পারছে না। সবচে সহজ ব্যাখ্যাটি হচ্ছে–অসীম হচ্ছে বিরাট বই, যার শুরুর পাতা এবং শেষের পাতা বলে কিছু নেই।
৮. প্রকৃতির ব্যাপারটায় রহস্য এত বেশি যে, কোনো থই পাওয়া যায় না। এবং সবচেয়ে বড় মুশকিল কি জানো? আমরা নিজেরাও এই প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির অংশ হয়ে সেই প্রকৃতিকে পুরোপুরি জানা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রকৃতির বাইরে যেতে হবে। তা যেহেতু পারছি না, প্রকৃতির অনেক রহস্যই বুঝতে পারছি না।
৯. সারা রাত বিনু এক ফোঁটা ঘুমুতে পারল না। বারান্দায় মোড়া পেতে বসে রইল। তার কাছে সব কিছুই কেমন অর্থহীন মনে হচ্ছে একটা জটিল রহস্যের আবর্তে সে পড়ে গেছে, এ থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পথ নেই। বারান্দা অন্ধকার। অনেক দূরে একটা স্ট্রীটল্যাম্প জ্বলছে। তার আলো যেন চারপাশের অন্ধকারকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
১০. মানুষের যে অংশ অসীমকে ধারণ করে অর্থাৎ মস্তিষ্কের সেই অংশ পুরোপুরি কাজ করে না বলেই সে জানে না। তার মস্তিষ্কের অংশমাত্র ব্যবহার করে, এটা তো আজ বিজ্ঞানীদের কাছে সত্য। মস্তিষ্কের একটি বিশাল অংশের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা নেই। কারণ সেই অংশটি সুপ্ত। কারো কারো ক্ষেত্রে সুপ্ত অংশ কিছুটা জেগে ওঠে। তার চারপাশের অসীম জগৎ সম্পর্কে সে কিছুটা ধারণা পেতে থাকে।

melodyy's review

Go to review page

2.0

প্রথমবার স্কুললাইফে পড়ার সময় সেইই অবাক লেগেছিলো । এখন মাল্টিভার্স ও অলটারনেট রিয়েলিটি নিয়ে অন্যান্য নভেল পড়া ব্রেইনের কাছে এটা খুব একটা আহামরি লাগলো না ।

কিছু কিছু বই দ্বিতীয়বার পড়া উচিত না । প্রথমবারের আমেজ নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে ।
More...